শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে মজুত করে রাখা বোমা বিস্ফোরণ ! উড়ে গেল ছাদ : আতঙ্ক এলাকায়

26th September 2020 9:11 pm বর্ধমান
শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে মজুত করে রাখা বোমা বিস্ফোরণ ! উড়ে গেল ছাদ : আতঙ্ক এলাকায়


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :  শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে বোমা মজুত করে রেখেছিল দুস্কৃতিরা। অত‍্যন্ত গোপনে লকডাউনের মধ‍্যে বিদ‍্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে দুষ্কৃতীরা ।  সেই বোমার বিস্ফোরণের 
তীব্রতায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের দেওয়াল ও ছাদের একাংশ  । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েতের আটপাড়া গ্রামে ।বিস্ফোরণের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে  এলাকায়  । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় গলসি থানার পুলিশ । শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের শৌচাগারে কারা বোমা মজুত করেছিল তার তদন্ত পুলিশ শুরু করেছে ।   প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , আটপাড়া গ্রামের দিঘীরপাড় এলাকায় রয়েছে  "ধর্মপুর আটপাড়া হাজরাপাড়া শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটি "। করোনা অতিমারির কারণে সরকারি নির্দেশ মেনে বেশ কয়েকমাস ধরে বন্ধ রয়েছে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটি । স্থানীয়রা  বলেন ,শিশুশিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ থাকার সূযোগ নিয়ে দুস্কৃতিরা সেখানে বোমা মজুত করে রেখেছিল । জানা গিয়েছে , এদিন বিকালে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে আটপাড়া গ্রাম । সঙ্গে সঙ্গে ধোঁয়া আর ধুলোয় ভরে যায় শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের চারপাশ। ভয়ে আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করে দেন শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের আশপাশের বাসিন্দারা ।  গলসির আটপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা  বলেন ,   করোনা অতিমারির কারণে দীর্ঘদিন শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে । তারই মধ্যে  কিছুদিন আগে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের  পড়ুয়াদের   চাল ডাল দেওয়া হয় । তার পর থেকে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটি তালা বন্ধই রয়েছে ।   চাবি থাকে  কেন্দ্রের শিক্ষিকা আকতারা বেগমের কাছে। তা সত্ত্বেও শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের  শৌচাগারের ভিতরে কিভাবে বোমা এল সেই প্রশ্ন নিয়েই  তোলপাড় ।  শিক্ষিকা আকতারা বেগম যদিও  জানিয়েছেন , “শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের চারটি সৌচাগারের  দরজাতেই  তালা দেওয়া রয়েছে । তার চাবি তাঁর কাছে রয়েছে । তা সত্ত্বেও সৌচাগারের ভিতরে কিভাবে বোমা এল সেটাই আশ্চর্যের বলে  আকতারা বেগম  মন্তব্য করেন। গলসি ১ ব্লকের যুগ্ম  বিডিও মৃন্ময় দাস বলেন , “ঘটনা জানার পরেই  পুলিশকে জানিয়েছি । খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে  চারটি শৌচাগার  ছিল। তার মধ্যে দুটি নতুন ও  দুটি পুরাতন।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোমা রাখাটা  দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । ঘটনার সঙ্গে যারাই যুক্ত থাক তারা কেউ যাতে পার না পায় সেই বিষয়টি পুলিশ দেখছে । ”গলসি থানার পুলিশ জানিয়েছে , ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সেই বিষয়ে খোঁজখবর চালানো হচ্ছে । 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।